Header Ads

স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে সমস্ত কাপড় পরিবর্তন করে ওযু করে নামায আ......

স্বপ্নদোষ

Sharing post and educated post for all=========================


কিশোর কিশোরীরা যখন যৌবনে পদার্পণ করে, তখন অনেক কিছুই তার কাছে নতুন মনে হয়। জীবনের এক নতুন অধ্যায়ে তার আগমন ঘটে। নানা রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। নানাবিধ সমষ্যায় পড়তে হয় তাকে। অনেক সময় অজানা কথাগুলো শেয়ার করার মত
মানুষ সে খুজেঁ পায় না। যার
ফলে শারীরিক, মানসিক ও ধর্মীয়
দৃষ্টিকোণ থেকেও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বিষয়গুলো জানা থাকা একান্ত জরুরী।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে একটি মেয়ে ৯ থেকে ১২ বছরের মধ্যে বালেগ হয়। আর একটি ছেলে ১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বালেগ হয়। বালেগ হওয়ার বেশ কয়েকটি আলামত বা লক্ষণ রয়েছে। তার মাঝে একটি হল (স্বপ্নদোষ)
হওয়া। স্বপ্নদোষ এর আরবী শব্দ হল এহতেলাম। ঘুমের মাঝে এমন কিছু দেখা যার দ্বারা বীর্য বের হয়। একেই স্বপ্নদোষ বলে। এর ফলে মানুষ অপবিত্র হয়ে যায়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় করা যাবে না। গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করে তার পর নামাজ আদায় করা যাবে। কিশোর- কিশোরী থেকে যারা নতুন যৌবনে পদার্পণ করেছে তাদের অনেকেরই বিষয়টি নাজানার কারণে বা লজ্জায় গোসল
করা থেকে বিরত থাকে। অবিত্র
থেকে যায়, নামাজের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ছেড়ে দিয়ে মারাত্নক গুনাহগার হয়। স্বপ্নদোষের পর দীর্ঘক্ষণ গোসল
না করলে শরীরে খুঁজলি-পচড়া, দাউদ হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা থাকে। আবার অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের ফলে বিশেষ করে অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা নানাবিধ রোগে ভুগে। তাই এ সম্পর্কে সচেতন থাকার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে একটি হাদিস শেয়ার করতে চাই।
উম্মে সালামা রাঃ থেকে বর্ণিত,
উম্মে সুলায়ম রাঃ বলেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ সত্য প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে কি তার উপর গোসল ফরজ হবে? তিঁনি বললেন : হ্যাঁ, হবে।
যখন সে বীর্য দেখতে পাবে।
একথা শুনে উম্মে সালামা রাঃ হাসলেন এবং বললেন, মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়? তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন, তা না হলে সন্তান তার সাদৃশ হয় কিভাবে?
[বোখারী-৩০৮১,
বাংলা বোখারী-৩০৯৩, নাইলুল
আওত্বার ২/৬৬/২৮৭ নাম্বার
হাদিস]

=======================================================================


এ হাদিস থেকে যা জানতে পারলাম:-
১. ছেলেদের মত মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ
হয়।
২. স্বপ্নদোষ হলে গোসল করা ফরজ
হয়।
৩. শুধু স্বপ্নদোষ হলেই গোসল ফরজ
হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বিছানায়
বা শরীরে তার কোন আলামত
পাবে না।
৪. শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে আল্লাহ
তাআলা লজ্জাবোধ করেন না। তাই
আমাদেরকেও শিক্ষা অর্জনের
ক্ষেত্রে লজ্জাবোধ করা কাম্য নয়।



=======================================================================


স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার উপায়-: (১) ঘুমানোর আগে ঘুমের দোয়া পড়া। এটা ১০০% কার্যকরী। রাসূল সাঃ এর সব হাদীস যে সত্য এটাও তার একটা প্রমাণ। দোয়া "আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু ওআহ ইয়া"
(২) উপুড় হয়ে না শোয়া ।
(৩) খারাফ ছবি না দেখা ।
(৪) যৌন চিন্তা বেশি না করা ।


=======================================================================


যদি সকালে উঠে বিছানায় বীর্য দেখো কিন্তু কারো স্বপ্নদোষের কথা মনে নাই তখন স্বামী-স্তিরি দুইজনকেই গোসল করতে হবে।


Share this post for know and show others for help....

No comments

Theme images by Matt Vince. Powered by Blogger.